Login.

Loading... |

কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়

মনস্তাত্বিক সংশোধনীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত

EIIN:105062, Board Code:3457

কুমিরা-৪৩১৪, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

khs105062@gmail.com, 01819895230

কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়

পড় তোমার প্রভূর নামে

বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, অলিয়ে কামেল, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডস্থ কুমিরা ইউনিয়নের দীর্ঘ দিনের অপ্রতিদ্বন্দি এবং ১৯৬২ সনে দেশ সেরা চেয়ারম্যান হিসাবে স্বর্ণ পদক জয়ী কালপূরুষ “কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের” প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আল্ হাজ্ব জহুরুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৮৭ সনে স্কুল প্রতিষ্ঠা বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেন, যা হুবহু উদ্ধৃত করা হল। ব্যক্তি কতটুকু মমতা, আন্তরিকতা ও ত্যাগ স্বীকার করলে তিলে তিলে এত বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে তারই বাস্তব দৃষ্টান্ত আজকের এই বিদ্যালয়।

কুমিরা স্কুল ঃ সংঘাত বন্ধুর ইতিহাস
আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম চৌধুরী
সহ-সভাপতি, পরিচালনা সংসদ।

আজকের সুপ্রতিষ্ঠিত কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নেপথ্যে একটা প্রাণবস্ত ইতিহাস রয়েছে।

যাঁর সৃজনশীল মানসলোকে এ স্কুল জন্মলাভ করেছিল এবং বাস্তবায়িত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়েছিল - তিনি অমর শিক্ষানুরাগী স্বগীয় নিবারণ চন্দ্র দাস। ১৯৩৮ সালের দিকে নিবারণ বাবু নিজ বাড়ীতেই বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর তিনি বাড়ীতেই স্কুল পরিচালনা করেন। পরে তিনি বাড়ী থেকে স্কুলটি   স্থানান্তরিত করেন শংকর দীঘির পূর্ব পাড়ে। একটি মাটির ঘর তৈরী করে বিদ্যালয়ের কাজ চালাতে শুরু করেন। বড় কুমিরা মধ্য-ইংরেজী স্কুল নামে বিদ্যালয়টি তখন সরকারের অনুমোদন লাভ করে। বাবু নিবারণ চন্দ্র দাস স্কুলের জন্য শংকর দিঘীর পূর্ব পাড়ে বড় কুমিরা মৌজার আর, এস, ২১৯ নং দাগের ৩৮ শতক জায়গা দান করেন। সেই মাটির ঘরটি আজও সেই স্থানে দাঁড়িয়ে তাঁর পূণ্যময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে। ১৯৫০ সালে তাঁর জীবনে অপ্রত্যাশিত ছেদ নেমে আসে। স্কুলটি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা একজন দেশ দরদী, ত্যাগী, সিদ্ধ পুরুষকে হারাই।

স্মরণযোগ্য যে, বর্তমান কুমিরা সরকারী দাতব্য চিকিৎসালয়টি স্থাপনের সময় স্থানের অসুবিধা দেখা দিলে আমি তাঁর নিকট জায়গাটির জন্য প্রস্তাব দেই, তিনি জায়গাটি সাগ্রহে দান করেন। অন্যথায় কুমিরার মধ্যস্থলে চিকিৎসালয়টি স্থাপন করাও বোধ হয় সম্ভব হতোনা।

বাবু নিবারণ চন্দ্র দাসের মৃত্যুর দশ-পনের দিন পর স্বগীয় ধীরেন্দ্র লাল রায় আামকে স্কুলটির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আহবান জানালে আমি বিদ্যালয়টির সঙ্গে আমার জীবন সম্পৃক্ত করে দেবার প্রেরণা লাভ করি।

স্বগীয় বাবু হরিশচন্দ্র রায়কে প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করার অনুরোধ জানালে তিনি স্বর্গীয় ধীরেন্দ্র লাল রায় ও বাবু নরেশ চন্দ্র দাস এর সহযোগিতায় স্কুল পরিচালনা আরম্ভ করেন।

১৯৫১ সালে সপ্তম শ্রেণী খোলা হয়। ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে অষ্টম শ্রেণীর ক্লাশ চালু করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলটির নাম বড় কুমিরার স্থলে শুধু কুমিরা রাখা হয় এবং স্কুলটির মনোন্নয়নের জন্যে বিভাগীয় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। তিনি স্কুল পরিদর্শন করেন এবং আমরা জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে বিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করি। তখন থেকে স্কুল “কুমিরা জুনিয়র হাই স্কুল” নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
১৯৫২ সালে বিদ্যালয়টি আপগ্রেডেড হবার পর ইমপেরিয়াল এডুকেশন সার্ভিসের ভূতপূর্ব এ,ডি,পি,আই, জনাব খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা সাহেব বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করার সময় এ অঞ্চলে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের উপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেন এবং তা কার্যকর করার জন্যে স্থানীয় ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট এবং সঙ্গতিসম্পন্ন লোকদের উৎসাহিত করেন।

আর্থিক অনটনের মধ্যেও স্কুলের কাজ চালিয়ে যেতে লাগলাম। ১৯৫৪ সালে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মরহুম মুস্তাফিজুল হক চৌধুরী সাহেব স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং স্কুলের স্বার্থে যথেষ্ট আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করেন।
চলমান পাতা - ২


পাতা - ২
১৯৫৬ সালে স্কুলে নবম শ্রেণী খোলার জন্য বিভাগীয় স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পেশ করলে তিনি স্কুল পরিদর্শন করেন এবং নবম শ্রেণী খোলার অনুমোদন ও একজন বি,এ,বি,টি, কে প্রধানশিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করার আদেশ দেন। জনাব মৌলভী শামসুল হক বি,এ,বি,টি, কে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের পদে নিয়োগ করা হয়। নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলে ১৯৫৭ সালের ১লা জানুয়ারী কুমিরা হাই স্কুলকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে বিভাগীয় স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা পুনরায় আবেদন জানাই। সে সময় বিভাগীয় স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রধান ছিলেন জনাব আবদুর রহমান এম,এ,বি,টি। তিনি কুমিরা হাই স্কুলের স্বীকৃতির ব্যাপারটি ডি,পি,আই -এর নিকট সুপারিশসহ পেশ করেন। হাই স্কুলে উত্তীর্ণ করণের শর্তানুসারে স্কুল রিজার্ভ ফান্ডে ১,৫০০/- (পনের শত) টাকা দেওয়ার বিধি ছিল। এই পনের শত টাকা দান করেন মরহুম হাজী নজির আহমদ সওদাগর।

১৯৫৭ সালের শুরুতেই স্কুলের ভাগ্যে নেমে আসে বিরাট চ্যালেঞ্জ, টিকে থাকার প্রশ্ন এবং প্রতিযোগিতার দুরূহ সময়। কারণ, ১৯৫৭ সালের জানুয়ারীর মধ্যভাগে মরহুম নবাব মিঞা চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন কাটির হাট স্কুলের প্রধানশিক্ষক জনাব এম,এ, মামুন ও ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বর্তমান কুমিরা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক) জনাব নজির আহমদ চৌধুরী মছজিদ্দা হাই স্কুল চালু করেন। ফলে বাঁশবাড়িয়া থেকে কাজী পাড়া পর্যন্ত এই বিস্তীর্ণ এলাকার ছাত্ররা, যারা আগে কুমিরা হাই স্কুলে পড়তো, তারা মছজিদ্দা হাই স্কুলে ভর্তি হতে শুরু করল। আমি প্রথমবারের মত স্কুলের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য চিন্তিত হয়ে পড়ি এবং মানসিকভাবে এই দুর্যোগের মোকাবেলা করার জন্য সকল প্রস্তুতি নিতে থাকি। এমনি দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তেই আমি বর্তমান কুমিরা হাই স্কুলের অবস্থানের জন্য পাঁচ কানি জমি ক্রয় করি। অতঃপর শুরু হয় আমাদের শ্রান্তি-ক্লন্তিহীন পূর্ণোদ্যম কার্যক্রম।

১৯৫৭ সালের ১৭ই ফেব্র“য়ারী এই বিদ্যালয়ের ইতিহাসে সোনায় মোড়া একটি দিন। সেদিন মরহুম মগফুর হযরত ওয়ালী আহমদ ছাহেব তাঁর মোবারক হাতেই স্থাপন করলেন কুমিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর। সমবেত শিক্ষাদরদী সুধীবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মরহুম শহীদুদ্দীন মাহমুদ, নিজামপুর নিবাসী লব্ধপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবী জনাব সুলতান আহমদ এম,এন,এ এবং জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীর রেজিষ্ট্রার জনাব বি,হক সাহেবান। তাঁরা সবাই এক বাক্যে মন্তব্য করেছিলেন যে, যেখানে অলিয়ে  কামেল হযরত ওয়ালী আহমেদ ছাহেবের হস্ত মোবারক এর স্পর্শ লেগেছে, সেখানে পুর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় না হয়ে যায় না। আল্লাহর নিকট হাজার শোকরিয়া যে তিনি তাঁর অপার মহিমায় সেদিনের জনসভায় উচ্চারিত এ আশার বাণীকে আজ বাস্তব রূপ দান করেছেন।

১৯৫৬ সালের ডিসেম্বরের শেষ ভাগে অবসর গ্রহণকারী চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সুদক্ষ প্রধানশিক্ষক জনাব সৈয়দ আহমদকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে নিয়োগ করা হয় এবং তাঁরই অক্লান্ত চেষ্টার ফলে কুমিরা হাই স্কুল সরকারী অনুমোদন ও স্বীকৃতি লাভ করে।

ঢাকা মাধ্যমিক স্কুল বোর্ডের অনুমোদনক্রমে এ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে ছাত্ররা প্রথম প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এ দিকে ১৯৫৮ সালেই প্রধাশশিক্ষক সৈয়দ আলী আহমদ বিদায় নেন এবং তদস্থলে আসেন মৌলভী সৈয়দ ফয়েজ উল্লাহ্ বি,এ,বি,টি ।

দিঘীর পাড়ে আমাদের স্কুল ঘরটির মধ্যে ক্লাশ সমূহ ও অফিস ঘর এর পরিধির সংকুলান না হওয়াতে ও অনুমোদনের শর্ত হিসাবে, তদুপরি বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন তৈরীর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার নির্দেশ দিতে থাকায় আমরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি এবং এ ব্যাপারে আমরা সদর মহকুমা হাকিমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকি। ১৯৫৯ সালের মাঝামাঝি দিকে আমাদের সঙ্গে সাক্ষাত ঘটে তদানীন্তন মহকুমা হাকিম এবং বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব আনিসুর রহমানের সঙ্গে। বাস্তবিক বলতে গেলে, তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় এ বিদ্যালয়ের সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। এ অগ্নিপুরুষ সেদিন তাঁর হৃদয় দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যে, এ অঞ্চলের একটি শীর্ষ স্থানীয় বিদ্যালয়ে পরিণত হবার যোগ্যতা কুমিরা হাই স্কুলের রয়েছে। তাঁর সাগ্রহ নেতৃত্বে এ বিদ্যালয় ভবনের প্রথম তলের কাজ সম্পন্ন হয়। এটা আমাদের পরম সৌভাগ্যের বিষয় যে, সে থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সকল প্রাক্তন ও বর্তমান মহকুমা এবং জেলা কর্তৃপক্ষের ও শিক্ষা বিভাগীয়
চলমান পাতা - ৩

পাতা - ৩
কর্তৃপক্ষের সক্রিয় সাহায্য-সহানুভূতি এবং পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে আসছি। ১৯৬০ সালে প্রধানশিক্ষক মৌলভী সৈয়দ ফয়েজ উল্লাহ তাঁর পদ থেকে বিদায় নেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জনাব আবুল কালাম এম,এ। ১৯৬০ সালের ২৬, জুলাই আমাদের বর্তমান কুমিরা হাই স্কুলের উদ্ধোধন হয় এবং আমরা স্কুলটিকে দিঘীর পাড় থেকে স্থানান্তরিত করে নতুন ভবনে নিয়ে যাই। ১৯৬১ ও ১৯৬৪ সালে এই বিদ্যালয় যথাক্রমে জেনারেল ডেভেলপমেন্ট ও বাইলেটার‌্যাল ডেভেলপমেন্ট স্কীমের অন্তর্ভূক্ত হয়। এ দুটো স্কীমের অধীনে অর্ন্তভূক্তির ফলে একে একে বিদ্যালয় মূল ভবনের দ্বিতল ও দ্বিতল বিজ্ঞান ভবন ইত্যাদি নির্মাণ সম্পন্ন হয়। গবেষণাগারের আসবাবপত্রাদি সহ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা সম্ভব হয়। দ্বিমূখী উন্নয়ন পরিকল্পনায় অর্ন্তভূক্তির ব্যাপারে কাটির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সম্পাদক মরহুম সৈয়দুল হক চৌধুরীর অবদান স্মরনের অপেক্ষা রাখে।

কুমিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অগ্রগতির এ ইতিহাস পর্যালোচনা আর পুনরালোচনা আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। কেননা ইতিহাস সচেতনতা হয়তো আমাদেরকে জটিলতর সমস্যাবলীর দৃপ্ততর মোকাবেলায় সাহায্য করবে এবং সম্ভাব্য ক্রুটিবিচ্যুতি থেকে রক্ষা পাবার পথ নির্দেশ করবে।

পরপর তিন বছর ১৯৬০, ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘুর্ণিঝড় আর সামুদ্রিক জলোচ্ছাসের তান্ডবলীলায় বারবার এ বিদ্যালয়ের জীবন ক্ষত বিক্ষত হয়েছে এবং এর অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু অপার করুনার আধার মহামহিম আল্লাহর মেহেরবাণীতে একবারের জন্যও আমাদের আশা ভঙ্গ হয়নি, একটি মূহুর্তের জন্যও আতœার পরাভব আমরা স্বীকার করিনি। প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম হাজারো প্রতিকুল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলেছে আামদের অভিযাত্রা। সমূহ সর্বনাশের ভ্রুকুটিকে আমরা ব্যর্থ করে দিয়ে নব নব আশা-আশ্বাসের মঞ্জিলে পৌছার তওফিক আমরা লাভ করি আল্লাহ্ রহমানুর রহিম থেকে।

১৯৬২ সালে প্রধানশিক্ষক আবুল কালাম সাহেব চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজের অধ্যাপক হিসাবে যোগদানের মধ্য দিয়ে কুমিরা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষকের পদ থেকে বিদায় নেন এবং তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জনাব মুজিবুল হক এম,এ। কিন্তু তিনি অল্প সময়ের ব্যবধানেই স্কুল ত্যাগ করেন। এবার তাঁর জায়গায় এলেন জনাব খালেদ বেলাল বি,এ,বি,এড। তিনি ১৯৬৩ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত দক্ষতার সাথে স্কুল পরিচালনা করেন। তিনি সরকারী তথ্য বিভাগে তথ্য কর্মকর্তার চাকুরী নিয়ে স্কুল থেকে বিদায় গ্রহণ করেন।

১৯৬৩ সালের মে মাসের এক শুভ মুহুর্তে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন জনাব নজির আহমদ চৌধুরী। তিনি মছজিদ্দা হাই স্কুল ত্যাগের এবং
কুমিরা হাই স্কুলের সেবা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। আমি তাঁকে সাগ্রহে সহকারী শিক্ষক এবং ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ করি।
আমি পূর্ব থেকেই জনাব নজির আহমদ চৌধুরীর দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্ক অবগত ছিলাম। তিনি মুলতঃ মছজিদ্দা হাই স্কুলের হোষ্টেলের প্রধান সংগঠক এবং ঐ স্কুলের নীতি নির্ধারণ ও উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি এ স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার কিছুুদিন পর স্কুল ও হোষ্টেলের সংগঠন এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রায় সকল কাজ পরিচালনা করার জন্য তাঁকে মৌখিক দায়িত্ব প্রদান করি। তিনি তাঁর নিজস্ব দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও নৈপুণ্যের সাথে হোষ্টেলের এবং স্কুল পরিচালনায় প্রধানশিক্ষক সাহেবেকে সহায়তা দিতে থাকলেন। প্রধানশিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকের নিয়োগ ও অপসারণ সম্পর্কীয় ব্যাপারেও আমি তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতাম। আমি তাঁর অভিজ্ঞতা ও সততায় খুবই আস্থাবান ছিলাম।

খালেদ বেলাল সাহেবের পরে যথাক্রমে সর্বজনাব শাহাজাহান ও জনাব শহীদুল্লাহ প্রধানশিক্ষক হিসেবে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে প্রধান শিক্ষক হয়ে আসেন জনাব শেখ নুর আহমদ এম,এড। এ সময় স্কুলে বি,এস,সি শিক্ষকের অভাব ছিল। ফলে
চলমান পাতা - ৪
পাতা - ৪

সহকারী শিক্ষক নজির আহমদ চৌধুরী ও তদানীন্তন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব মনির উল্লাহ বি,এস,সি আমাকে পরামর্শ দেন যে, যদি জনাব মসিউদ্দৌলা চৌধুরীকে স্কুলের প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা যায় তবে একদিকে স্কুলের বি,এস,সি শিক্ষকের অভাব পুরণ হবে অন্য দিকে তিনি বি,এড হওয়াতে তাঁকে প্রদান শিক্ষকের দায়িত্বও দেওয়া যেতে পারে। তাঁদের পরামর্শে সাড়া দিয়ে ১৯৬৫ সালে শেখ নুর আহমদ সাহেবকে প্রধানশিক্ষকের পদ হতে অব্যাহতি দিই। তিনি এক বৎসর অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ধৈর্য্যরে সাথে স্কুল পরিচালনা করেন এবং এই অল্প সময়ের মধ্যে স্কুলের মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি প্রধানশিক্ষক হয়ে আসেন জনাব মসিউদ্দৌলা চৌধুরী। স্কুলের বিভিন্ন সমস্যাবলী ও তার সমাধান সম্পর্কিত পরিকল্পনা গ্রহণের ব্যাপারে জনাব নজির আহমদ চৌধুরীর সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান তিনি সহজভাবে নিতে পারতেন না। ফলে তাঁর স্কুলে আগমনের কিছুদিনের মধ্যে জনাব নজির আহমদ চৌধুরীর সাথে মতবিরোধ শুরু হয়। তখন আমি জনাব মসিউদ্দৌলা চৌধুরীকে এ বলে বোঝাতে চেষ্টা করলাম যে, যদি জনাব নজির আহমদ চৌধুরীর পরামর্শে স্কুলের কোন উন্নতি সাধিত হয় তবে তাতে তো আপনারই গৌরব ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আমার পরামর্শে কোন ফলোদয় হলো না। তাঁদের উভয়ের মতবিরোধ কয়েক বছর চলার পর জনাব নজির আহমদ চৌধুরী স্কুল ত্যাগ করেন।

কিন্তু জনাব মসিউদ্দৌলার কিছু কার্যকলাপে তাঁর প্রতি আমার অসন্তোষ জন্ম নেয়। অত্যন্ত কঠোর শোনালেও কর্তব্যে অবহেলা তাঁর রেওয়াজ -এ পরিণত হয় তদুপরি ছাত্রদের বৃত্তি ও স্কুলের বিভিন্ন খাতের টাকার হিসেব না মিললে আমি তাঁকে স্কুল পরিত্যাগ করিতে বলি। তাঁর সাথে আমার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্ব ক্রমেই চরমে পৌছে। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় আমার শক্রদের একত্রিত করে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। শেষে আমার উপর্যুপরি চাপের মুখে টিকতে না পেরে তিনি মুনসেফ কোর্টের শরনাপন্ন হন এবং সেখানে থেকে ইনজাংশান জারি করান। আমি জজকোর্ট এ গিয়ে তা ভেকেট করাই। তিনি হাইকোর্ট করেন এবং সেখানেও ইনজাংশান দেয়। দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে তিনি ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি স্কুল ত্যাগে বাধ্য হন। জনাব মসিউদ্দৌলা চৌধুরীর সাথে দ্বন্দ্বে আমি স্কুলের স্থায়িত্ব ও শৃংখলা রক্ষা নিয়ে মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। তিনি আমাকে অত্যন্ত হয়রানী ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করেছিলেন। এব্যাপারে আমার প্রায় সাত-আট হাজার টাকা ব্যয় হয়। আমাদের উভয়ের দ্বন্দ্ব চলাকালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে এডহক কমিটি গঠন করা হয় এবং এ কমিটির সেক্রেটারী নির্বাচিত হন স্বগীয় নির্বারণ চন্দ্র দাসের বড় ভাই স্বগীয় উপেন্দ্র চন্দ্র দাস।

শ্রী রাজেন্দ্র প্রসাদ বি,এ,বি,এড-কে ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি স্কুলের প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি নিষ্ঠা ও দক্ষতা সাথে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন।

১৯৭০ সালে স্কুল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে আমি পুনরায় সেক্রেটারী নিযুক্ত হই এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনার চেষ্টা করি। ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসে আমি স্কুলের সেক্রেটারী পদ থেকে পদত্যাগ করি। আমার স্থলাভিষিক হন জনাব তাজ মোহাম্মদ। তিনি সেক্রেটারী থাকাকালীন ১৯৭২ সালে স্কুলের প্রধানশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জনাব নুরুল আলম বি,এ,বি,এড। তিনি ১৯৭৩ সালের ৪ঠা জুলাই পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যান। ১৯৭৩ এর জুলাই মাস হতে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন জনাব মাহমুদুল হক। তিনি ১৯৭৩ সালের ২৪শে অক্টোবর বাড়ীতে গেলে আর কাজে যোগদান করেননি। অতঃপর সহকারী প্রধানশিক্ষক জনাব মাহবুবুল হক ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৭৪ সালের আগষ্ট মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখযোগ্য, এ সময়ে স্কুল পরিচালনায় জনাব এম,এ, গণির সহযোগিতা লাভ করি।

জনাব নজির আহমদ চৌধুরী ১৯৭৪ সালে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে তাঁর অসাধারণ মেধা ও সৃজনী শক্তির স্বাক্ষর রাখেন। আমি যথাসময়ে তাঁর কৃতিত্বের সংবাদ অবগত হই এবং মরহুম ইমাম হোসেন সাহেবের মারফত তাঁর কাছে কয়েকবার সংবাদ পাঠাই কুমিরা স্কুলের প্রধানশিক্ষক হিসেবে যোগদান করার জন্য। তিনি সংবাদ পাঠান যে, জীবনের
চলমান পাতা - ৫
পাতা - ৫

অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছেন, এখন একটা প্রতিষ্ঠিত স্কুলে যোগ দিতে চান। আমি আবারও মরহুম ইমাম হোসেন সাহেবকে পাঠালে তিনি
জনাব নজির আহমদ চৌধুরীকে সাথে করে নিয়ে আসেন। তখন জনাব নজির আহমদ আমাকে বলেন, স্কুলের আর্থিক অবস্থা খুবই বিপর্যস্ত এবং শিক্ষকদের কয়েক মাসের বেতন বাকী এবং স্কুলের স্বীকৃতির মেয়াদ বৃদ্ধি করণের সুপারিশ পেশ করতে উপ-পরিচালকের অনীহা। তাই তিনি যোগ দিতে আগ্রহী নন। আমি তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলি কোন অসুবিধা হবে না। আমি সবকিছুর ব্যবস্থা করব। আপনি এসে যোগদান করলেই অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাই-ই ছিল। তিনি ১৯৭৪ সালের ২৩শে আগষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্কুলের সে সময়ের অবস্থা দেখে প্রধানশিক্ষকের মত দায়িত্বপূর্ণ পদে তাঁকে দেখে আমার উদ্বিগ্নতা কেটে যায়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার কদিন পর আমার কাছ থেকে মাত্র এক হাজার টাকা স্কুলের জন্যে চেয়ে পাঠান এবং তাও কিছুদিন পর ফেরত দেন। আর কোনদিন স্কুলের কাজে টাকার জন্যে তাঁকে আমার সহযোগিতা নিতে হয়নি।

বিদ্যালয়টির উন্নয়ন ও উৎকর্য বিধানের পেছনে যার নিরলস চেষ্টা ও নিঃস্বার্থ পরিশ্রম কাজ করেছে তিনি আমার সহকর্মী বর্তমানে প্রয়াত জনাব ইমাম হোসেন। সবসময় তাঁকে হাতের কাছে পেয়েছি। তিনি ছিলেন নিঃস্বার্থ ও শিক্ষানুরাগী। স্কুলের জন্য তাঁর অকৃত্রিম দরদ ও সহানুভূতি আমি ভূলতে পারবো না। এই স্কুলের উন্নতি ও বিকাশ লাভে সর্বজনাব আহমদ মিয়া চৌধুরী, খলিল আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ ফারুক আহমদ, মেফতাহুল কুদ্দুস, মজাহার  উদ্দীন, কবির আহমদ, আমিনুর রহমান, আলি হোসেন বলি, গোলাম কাদের, সৈয়দ হারেছ মিয়া, আমিন উল্লাহ চৌধুরী, ইউনুচ কোম্পানী, ডাঃ মুহাম্মদ মিয়া চৌধুরী, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, রহিম উল্লা কনট্রাক্টর, আবুল কাসেম চৌধুরী, রাজা মিয়া চৌধুরী প্রমুখের নাম বিশেষভাবে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। এদের অনেকেই বর্তমানে পরলোকগত।

১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯১ জানুয়ারী -এ সময়টা স্কুলের জন্য একটা আলো-ঝলমল যুগের সমতূল্য। প্রধানশিক্ষক জনাব নজির আহমদ চৌধুরী আজকের কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের রূপকার ও স্থপতি হিসাবে এ সময়ে নিজের কৃতিত্ব প্রমান করেছেন।

তিনি প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েই একে একে স্কুলের শিক্ষাদান পদ্ধতি, আবাসিক ব্যবস্থা, শিক্ষক সংগ্রহ ও পরিবর্তন, হিসাব সংরক্ষন ব্যবস্থা, স্কুলের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ, খেলাধুলা, স্কাউট প্রশিক্ষণ এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন বিষয়ে তাঁর প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগান। তিনি ১৯৭৭ সালে স্কুলের জন্য এক কোটি টাকার একটি মহা-প্রকল্প গ্রহণ করেন।

সরকারী সাহায্য ছাড়াই এই প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ কাজ ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সম্পন্ন করেন। সরকার থেকে রেলওয়ের পরিত্যক্ত ভূমি ও খাস জমি ইজারা নিয়ে স্কুলের আর্থিক অবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিদ্যালয়ের ভাবমূতি বর্ধন, ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্পদের সুরক্ষা, কয়েকজন প্রাক্তন প্রধানশিক্ষকের নিকট থেকে আতœসাৎকৃত অর্থের অংশবিশেষ আদায় ও বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষা বোর্ডের স্বীকৃতির মেয়াদবৃদ্ধি ইত্যাদি দুরূহ কাজ সম্পাদনে তাঁর দক্ষতা ও নিষ্ঠায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।

১৯৮৩ সালে তিনি গঠন করেন মোট দশ লক্ষ টাকা মূলধনের একটি ট্রাস্ট। ট্রাষ্টের বার্ষিক আয়ের শতকরা ২৫ ভাগ যোগ হবে মূলধনের সাথে, ৫০ ভাগ ব্যয় হবে স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজে, ১৭.৫ ভাগ ব্যয় হবে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানে এবং ৭.৫ ভাগ ব্যয় হবে শিক্ষকদের গ্র্যাচুইটি প্রদান খাতে। তিনি গত ২৫-১১-১৯৮৪ইং তারিখে দশ লক্ষ টাকার ‘কুমিরা উচ্চ বিদ্যালয় ফাউন্ডেশন’ গঠন করেন মহৎ ও বিশাল এক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা মূলধনের এই ফাউন্ডেশন থেকে বাষিক আয় হবে প্রায় পঁচাত্তর হাজার টাকা। উক্ত বার্ষিক আয়ের তের শতাংশ ব্যয় করা হবে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে বিশেষ পুরষ্কার প্রদানে। শতকরা চার ভাগ ব্যয় করা হবে সীতাকুন্ড ডিগ্রী কলেজের চারজন এবং শতকরা দুই ভাগ ব্যয় করা হবে লতিফা সিদ্দিকী বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গরীব ও মেধাবী দুইজন ছাত্রীকে উপবৃত্তি প্রদানে।
চলমান পাতা - ৬

পাতা - ৬

১৯৮৫ সালে তিনি কুমিরা বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরিচালনা সংসদের সভায় এক প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু আমরা জায়গা ও দালানের অভাবহেতু রাজী হইনি। কারণ নতুন একটি স্কুল করতে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার জায়গা এবং পাঁচ লক্ষাধিক টাকার দালান প্রয়োজন। বিস্ময়ের ব্যাপার, তিনি তদানীন্তন বাংলাদেশ রেলওয়ে, পূর্বাঞ্চল-এর মহা-ব্যবস্থাপক জনাব এম, আসজাদ আলীর সাথে দেখা করে অধুনালুপ্ত, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় কুমিরা -এর পরিত্যক্ত দালান, বিদ্যালয় মাঠ, বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর এবং পতিত জমি কুমিরা বালিকা বিদ্যালয়ের নামে হস্তান্তরের আদেশ পাশ করান। তদানীন্তন মাননীয় ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রী জনাব সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরীকে এনে কয়েক লক্ষ টাকার চাল ও সি,আই, শীট মঞ্জুর করিয়ে পুকুর কাটানোর এবং এপ্রোচ রোড তৈরীর ব্যবস্থা করেন। প্রধানশিক্ষক সাহেব রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক জনাব এম, আসজাদ আলীকে এনে বালিকা বিদ্যালয় উদ্ধোধন করান। জনাব তাজ মোহাম্মদকে আহবায়ক করে এক আহবায়ক কমিটি গঠন করে বিদ্যালয় চালাতে চেষ্টা করি। এ কমিটি বিদ্যালয় পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় এবং গত ৩১/০৭/১৯৮৭ তারিখে এ কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। ডি,এম,ও জনাব এম,এ, বারীকে চেয়ারম্যান ও প্রধানশিক্ষক জনাব নজির আহমদ চেীধুরীকে সেক্রেটারী করে নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

জনাব নজির আহমদ চৌধুরী তাঁর কার্য্যকালে প্রধানতম প্রতিকূলতার মূখোমূখী হন ১৯৮১ সালে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ১৯৭৭ সালে এক কোটি টাকার মহাপ্রকল্প গ্রহণ করেন। তদানীন্তন বিভাগীয় কমিশনার জনাব আবদুল আউয়াল সে মহাপ্রকল্পের প্রথম ত্রিতল দালানের শিলান্যাস করেন ৪ঠা অক্টোবর, ১৯৭৭ সালে। উক্ত দালানের নীচতলা উদ্ধোধন এবং দ্বিতলের কাজ শুভারম্ব করেন তদানীন্তন জেলা প্রশাসক জনাব জিয়াউদ্দীন মোহাম্মদ চৌধুরী ১৫ই জুলাই, ১৯৭৮ সালে। একটি আধুনিক ডাইনিং হল এবং রান্নাঘর উদ্ধোধন করেন তদানীন্তন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চট্টগ্রাম, জনাব আবদুল মালেক ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৭৯ সালে। দ্বিতীয় ত্রিতল ভবনের শিলান্যাস করেন তদানীন্তন মহামান্য রাষ্ট্রপতি লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান ২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৯ সালে। প্রথম ত্রিতল দালানের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা হয় এবং দ্বিতীয় ত্রিতল ভবনের কাজও অব্যাহতগতিতে চলতে থাকে। আরো অনেক উন্নয়নমূলক কাজও সে সাথে শেষ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জনাব শাহ মোঃ আজিজুর রহমান ১৯৮০ সালের ৩০শে মার্চ আমাদের স্কুল পরিদর্শন করেন।

স্কুল সংলগ্ন হযরত ডাল চাল মিঞা (রঃ) মসজিদ ছিল অতি ছোট্ট ও মাটির দেয়াল বিশিষ্ট। উহার মেঝে ও দেয়ালে বড় বড় ফাটাল ছিল। মসজিদটি ছিল দুইশত বছরের পুরানো। মসজিদটি পুননির্মাণের জন্য প্রথমে আমাকে চেয়ারম্যান ও জনাব সৈয়দ হারেছ মিয়াকে সেক্রেটারী করে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পরবর্তী মিটিং এ আমি মসজিদটির নির্মাণের ব্যাপারে আরো শক্তিশালী কমিটি গঠন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করি এবং তদানীন্তন মহকুমা প্রশাসক জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী সাহেবকে চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল সালাহউদ্দিন বি,পি সাহেবকে সেক্রেটারী ও জনাব সৈয়দ হারেজ মিয়াকে এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী করে বর্তমান কমিটি গঠিত হয়। এ মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি জনাব দাউদ-উজ-জামান চৌধুরী ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৮০ সাল। জনাব চৌধুরী পাঁচ কোটি টাকার হযরত ডাল চাল মিঞা (রঃ) ইসলামিক কমপ্লেক্সের সাথে স্কুল প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করেন এবং এর প্রথম উপ-প্রকল্প ১৫ লক্ষ টাকার ডাল চাল মিঞা (রঃ) মসজিদ পুনঃনির্মাণে সর্বাধিক সহায়তা প্রদান করেন। এ মসজিদ কমিটি ৫ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে সেটাকে ইসলামিক কমপ্লেক্স রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ১৯৮১ সালের ১০ই মার্চ।

বিদ্যালয়ের দ্রুত উন্নতিতে কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের তদানীন্তন চেয়ারম্যান জনাব নূর উদ্দীন চৌধুরী এবং আরো কয়েকজন (যাঁরা মছজিদ্দা স্কুলের সাথে জড়িত) হিংসায় কাতর এবং ঈর্ষায় আতুর হয়ে পড়েন এবং এ স্কুলটিকে ধ্বংস করার জন্য পন্থা খুঁজতে থাকেন। তাঁরা জানেন এ সব মহতী পরিকল্পনা মূল স্থপতি হলেন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষাবিদ অত্র বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক জনাব নজির আহমদ চৌধুরী। তাঁরা আরো জানেন, প্রধানশিক্ষক সাহেবের অসাধারণ কর্মপ্রেরণা, সততা ও সাংগঠনিক ক্ষমতার জন্য তিনি জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ  
চলমান পাতা - ৭

 পাতা - ৭

স্তরের সকল পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট সুপরিচিত ও উচ্চ প্রশংসিত। তাঁকে সরানো না হলে কুমিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অগ্রগতি কোনভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। তাঁরা মছজিদ্দা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, সমর্থক এবং ভাড়াটে লোকের দ্বারা স্কুল ক্যাম্পাস ঘেরাও অবস্থায় রাখে। আবাসিক ছাত্রদের দু’বেলা উপোস রাখা হয় এবং তাদের রেশনের চাল ও বাজার সামগ্রী লুট করা হয়। তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধানশিক্ষককে

তাড়িয়ে দেয়া। সৌভাগ্যের বিষয়, স্থানীয় অভিভাবক, শুভাকাঙ্খী ও জেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়কে রক্ষার জন্যে এগিয়ে আসে। তদানীন্তন মাননীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পাদকের দরখাস্তের উপর আদেশ দেন, “ঝ.চ. ঈযরঃঃধমড়হম, ড়িঁষফ ুড়ঁ ঢ়ষবধংব ষড়ড়শ রহঃড় ঃযব সধঃঃবৎ ঢ়বৎংড়হধষষু?” এস, পি, চট্টগ্রাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ আদেশ পাওয়ার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান শিক্ষকের নিকট পাঠান। তিনি ছাত্রাবাস অধিকর্মা জনাব আবু তাহের ভুঁইয়া এবং দপ্তরী রফিকুল ইসলাম কর্তৃক দু’টি মামলা রুজু করান সীতাকুন্ড থানায় এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্বারা সাথে সাথে চার্জসীট দেয়া হয়। তদানীন্তন মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জনাব আবদুল হালিম চৌধুরী আদেশ দেন, “উ.ঈ ঈযরঃঃধমড়হম রিষষ ঢ়ষবধংব বহয়ঁরৎব ধহফ ঃধশব হবপবংংধৎু ধপঃরড়হ ধমধরহংঃ ঃযব ঈযধরৎসধহ.”  তদানীন্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী জনাব জামাল উদ্দীন আহমদ আদেশ দেন, “ঝ.চ. ঈযরঃঃধমড়হম, ঢ়ষবধংব রহংঃরঃঁঃব ধহ রসসবফরধঃব বহয়ঁরৎু রহঃড় ঃযব সধঃঃবৎ ধহফ ঃধশব ধঢ়ঢ়ৎড়ঢ়ৎরধঃব সবধংঁৎবং ঁহফবৎ রহঃরসধঃরড়হ ঃড় সব.”

তৎকালীন স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী জনাব এল.কে সিদ্দিকী কর্তৃক জেলা প্রশাসকের নিকট লিখা ডি,ও -এর মর্ম নিুরূপ,
“ঞযব উবঢ়ঁঃু ঈড়সসরংংরড়হবৎ,ঈযরঃঃধমড়হম,
ঊহপষড়ংবফ ঢ়ষবধংব ভরহফ ধ ষবঃঃবৎ ধফফৎবংংবফ নু ঃযব ঝবপৎবঃধৎু, কঁসরৎধ ঐরময ঝপযড়ড়ষ রহ ঝরঃধশঁহফ চ.ঝ. ৎবমধৎফরহম ধহ রহপরফবহঃ ঃযধঃ ঃড়ড়শ ঢ়ষধপব রহ ঃযব ংধরফ পধসঢ়ঁং ড়হ ২৪ঃয ধহফ ২৫ঃয ঝবঢ়ঃবসনবৎ, ১৯৮১. উঁৎরহম সু ষধংঃ ারংরঃ ঃড় সু ধৎবধ, ও ভড়ঁহফ ঃযধঃ ঃযরং রংংঁব যধং নববহ ঃযব ংড়ঁৎপব ড়ভ ষড়ঃ ঃবহংরড়হ ধহফ ধমরঃধঃরড়হ রহ ঃযব ধৎবধ যিরপয হববফং ুড়ঁৎ রসসবফরধঃব ঢ়বৎংড়হধষ ধঃঃবহঃরড়হ.

ও ড়িঁষফ নব ড়নষরমবফ রভ ুড়ঁ ঢ়ষবধংব ঃধশব ঢ়বৎংড়হধষ রহঃবৎবংঃ রহ ঃযব সধঃঃবৎ ধহফ ধৎৎধহমব ৎবফৎবংং ড়ভ ঃযব মৎরবাধহপবং নু ঃধশরহম ঃযব পঁষঢ়ৎরঃং ঃড় ঃধংশ. চষবধংব ঃৎবধংঃ ঃযরং ধং াবৎু ঁৎমবহঃ”.

এদিকে জেলা প্রশাসক, মাননীয় মন্ত্রীর ডি,ও লেটারের উপর মহকুমা হাকিমকে লেখেন, “ঝ. উ.ঙ, ঝধফধৎ, ঈযরঃঃধমড়হম, রিষষ ঢ়ষবধংব ঃধশব হবপবংংধৎু ধপঃরড়হ.” মহকুমা হাকিম নিজেই একটি মামলা রুজু করেন এবং আদেশ দেন, “ইঈ – ও, চষবধংব ংঃধৎঃ ধ পধংব ঁহফবৎ ঝবপঃরড়হ – ১০৭ ঈৎ. চ.ঈ”  মোকদ্দমা ৩/৪ বছর ধরে চলে। দীর্ঘ চার পর জনাব নজির আহমদ চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় এবং এডভোকেট সালাহউদ্দীনের সহযোগিতায় আপোষে মামলায় নিষ্পত্তি ঘটে। নিষ্পত্তির শর্ত ছিল দুটো : -
(১)    বিবাদীরা পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্প “হযরত ডাল চাল মিঞা (রঃ) ইসলামী কমপ্লেক্স” এর পক্ষে কাজ করবেন।
(২)    তাঁরা স্কুলের এক কোটি টাকার মহা-পরিকল্পনার পক্ষে কাজ করবেন।

সৌভাগ্যের বিষয়, তিনটি মামলার বিবাদীদের অধিকাংশ তখন থেকেই স্কুলের উন্নয়নকর্মের অংশীদার হয়ে প্রধানশিক্ষক সাহেবের সাথে সহযোগিতা করে চলেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রের দুই মুল-নেতা বিনা শাস্তিতে থেকে যায। লিখতে লজ্জা হয়, প্রথম ত্রিতল ছাত্রাবাস ভবনের কাজ শুরু করার আগে কয়েকজন মিলে এক বিরাট আন্দোলন শুরু করে যে, প্রধানশিক্ষককে দালান করতে দেবে না। তিনি ৪-১০-৭৭ তারিখ তদানীন্তন বিভাগীয় কমিশনার জনাব আবদুল আউয়ালকে এনে ঐ দালানের ভিত্তি স্থাপন করালে আন্দোলন থেমে যায।
চলমান পাতা - ৮

পাতা - ৮

আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ১৯৫৭ সাল থেকে শুধু স্থানীয় ছাত্রদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় স্কুলের তহবিল ঘাটতি দেখা যায়। কিন্তু
বর্তমান প্রধানশিক্ষক জনাব নজির আহমদ চৌধুরী এসে ছাত্রাবাস স্থাপন করেন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্র ভর্তি হতে থাকে। ফলে স্কুল তহবিল ক্রমান্ময়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সুতরাং এ কথা স্পষ্ট যে, শুধু স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীর ওপর নির্ভর করে যেখানে স্কুল চলে না সেখানে আবাসিক-অনাবাসিক প্রশ্ন তুলে গন্ডগোল সৃষ্টি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডকেই ব্যাহত করে।                                       

আগে নিয়ম ছিল, স্কুল কমিটির মধ্য হতে ভোটের মাধ্যমে সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া। কিন্তু দেখা গেছে যে, সম্পাদক যদি প্রধানশিক্ষক না হয়ে অন্য কেউ হয় তবে উভয়ের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলে। এমতাবস্থায় সদাশয় সরকার সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রধানশিক্ষকই পদাধিকার বলে স্কুলের সম্পাদক হবেন এবং তিনিই হবেন পরিচালনা সংসদের সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের একমাত্র প্রশাসক।

আমি প্রত্যক্ষ করেছি, দুনীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল জনাব নজির আহমদ চৌধুরী স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থায় মনস্তাত্বিক সংশোধনী নীতির প্রবর্তন করেন এবং বিদ্যালয় ছাত্রাবাসকে বিশেষভাবে সংগঠিত ও পুনঃবিন্যস্ত করেন যার সুফল প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে। তার পাশাপাশি আরও যেসব শিক্ষক স্কুলের উন্নয়নের জন্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে মেধা, মনন, শ্রম ও নিষ্ঠা ব্যয় করে চলেছেন - জনে জনে তাঁদের নামোচ্চারণ করতে না পারলেও তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কোন ঘাটতি নেই।

পরিশেষে, কুরুণাসাগর আল্লাহর দরবারে বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও দীপ্তিময় ভবিষ্যত কামনা করে আমার স্মৃতি-কাতর বয়ানে ছেদ টানছি। স্কুলের ক্রম-অগ্রসরতাই হোক সংশ্লিষ্ট সকলের অন্বিষ্ট, আমাদের এ কামনা আনুক্ষণিক।

-শেষ-

 
          







সম্পূর্ণ পড়ুন
স্থাপিত 1938
সময়
ফোন 01819895230
ইমেইল khs105062@gmail.com
ঠিকানা কুমিরা-৪৩১৪, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম

সভাপতির বার্তা


প্রতিষ্ঠান প্রধানের বার্তা


শ্রদ্ধেয় অভিভাবক/ অভিভাবিকা,

ছাত্র-পঞ্জী কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দৈনন্দিন কর্মসূচীর  পথনির্দেশক। ইহা  তাদের পাঠপ্রস্তুতি, সহ-পাঠ্য বিষয়ে অংশগ্রহণ, চরিত্র গঠন, বাড়ীর কাজ ইত্যাদি তৈরী বিষয়ে যেমন সহায়ক হবে, তেমনি ইহার মাধ্যমে অভিভাবকেরা নিজ নিজ  ছেলে বা পোষ্যের স্কুলে উপস্থিতি-অনুপস্থিতি, পাঠে উন্নতি-অবনতি ইত্যাদি সম্পর্কে সজাগ থাকতে সক্ষম হবেন। শিক্ষকরা এই ছাত্র-পঞ্জী’র মাধ্যমে অভিভাবক/অভিভাবিকা মূল্যবান উপদেশ ও মতামত লাভে, ছাত্রদের পাঠদান ও তার জীবন গঠনে সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

ছাত্র-শিক্ষক- অভিভাবকের যৌথ চেষ্টার মধ্যেই নিহিত রয়েছে ছাত্রদের সাফল্য । এই সাফল্যে আমরা সবাই আনন্দিত।

আসুন, আমরা আমাদের  সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের ভবিষ্যৎ আশা-আকাঙ্খার প্রতীক এই ছাত্র সমাজকে নির্ভূল পথে পরিচালিত করে আমাদের পবিত্র দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তাদেরকে আদর্শ ছাত্র, কর্তব্যপরায়ণ সন্তান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলি।

 

 মোঃ আলী নেওয়াজ

প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত)

কুমিরা আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়।

কুমিরা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।